কম্পিউটার কারখানার যাত্রা শুরু করলো ওয়ালটন। প্রাথমিকভাবে মাসে ৬০ হাজার ল্যাপটপ, ৩০ হাজার ডেস্কটপ এবং ৩০ হাজার মনিটর তৈরির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
গাজীপুরের চন্দ্রায় এ কারখানায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাদারবোর্ড তৈরি করবে ওয়ালটন। এছাড়া তৈরি করা হবে মনিটর।
১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের হাইটেক ও মাইক্রোটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পার্কে এই কারখানার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দুঃসাহস ও আকাশের দিকে তাকানোর ক্ষমতা তাদের আছে। দেশে কম্পিউটার সংযোজন হলেও উৎপাদনের মাধ্যমে তারা এ সাহস দেখিয়েছে।
সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও সার্ভিস রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দিতে খুব দ্রুত এসআরও জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সম্ভবনাকে বাস্তবে পরিণত করেছে ওয়ালটন। দেশে বর্তমানে ৫ লাখ কম্পিউটার আমদানি করতে হয়। সরকারি ক্রয়ে দেশিয় পণ্য উৎসাহিত করা হবে।
২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পলক।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম।
৩ লাখ বর্গফুটের বিশাল এই কারখানায় ইন্টেলের সর্বশেষ প্রজন্মের প্রসেসর যুক্ত করে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ তৈরি হবে এই। এরইমধ্যে মাদারবোর্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশ এবং পেন ড্রাইভ, কিবোর্ড ও মাউস উৎপাদনে যাবে ওয়ালটন।
ওয়ালটন কর্মকর্তারা জানান, কারখানার জন্য জার্মান ও জাপান প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীসহ কারখানায় সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজার কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে কম্পিউটার উৎপাদনে। শিগগিরই কম্পিউটার রপ্তানি শুরু করবে কোম্পানিটি। মার্চে নেপালের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও হওয়ার কথা রয়েছে।