মাঝে মাঝেই মনে প্রশ্ন জাগে, আল্লাহ যদি আমাদের সৃষ্টিই করে থাকেন কিংবা ভালোই বাসেন, তাহলে আমাদের জীবনে এত দুঃখ র্দুদশা কেন?
এমন কিছু প্রশ্ন আমাদের সবার মনেই কম বেশি ঘুরপাক খেতে থাকে।
এই টাইপের প্রশ্নগুলোর উত্তর আল্লাহ বিভিন্নভাবে আল কুরআনে দিয়ছেন।
প্রশ্ন-আমাকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা দিতে হবে কেন?
‘মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ্ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে।’
প্রশ্ন-আমি যা চাই,তা পাই না কেন?
‘পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।’ [সূরা বাকারা ২, ২১৬]
প্রশ্ন-আমার উপর এভাবে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হল কেন?
‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না। সে তাই পায় যা সে উর্পাজন করে এবং তাই তার উপর র্বতায় যা সে করে।’ [সূরা বাকারা ২, ২৮৬]
‘নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।’ [সূরা ইনশরিাহ ৯৪, ৫ এবং ৬]
প্রশ্ন-বিপদে আমি আশা হারাবো না কেন?
‘আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।’ [সূরা আল ইমরান ৩, ১৩৯]
প্রশ্ন-তাহলে এইসব কিছু আমি মোকাবেলা করব কিভাবে?
‘হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।’ [সূরা আল-ইমরান ৩, ২০০]
‘ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তূ সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।’ [সূরা বাকারা ২, ৪৫]
প্রশ্ন-কিন্তু আমার পক্ষে যে আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না।
‘আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।’ [সূরা ইউসুফ ১২, ৮৭]
‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা আয যুমারঃ৩৯, ৫৩]