সিলেটের তামাবিল শুল্কষ্টেশনে কাষ্টমসের ডেপুটি কমিশনারসহ ৬জনকে বিজিবি ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে কতিপয় উশৃঙ্খল বিজিবি কর্তৃক মারপিটের প্রতিবাদে রবিবার সকালে বেনাপোল কাষ্টম হাউজের সামনে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ সহ কলোব্যাজ ধ্রান করেছে (খকাএভ) এর সংগঠন বেনাপোল কাষ্টম কর্মকর্তারা। এসময় বন্দর ব্যাবহারকারী সিএন্ডএফ ও কর্মচারি শ্রমিক ইউনিয়ন মানব বন্ধন ও সমাবেশে একাত্বতা প্রকাশ করেন। এনবিআর চেয়ারম্যানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বেনাপোল বন্দর ও কাষ্টমসের কাজকর্ম সচল হয়েছে। তবে ২দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
প্রতিবাদ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুকাএভের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বেনাপোল কাস্টমস হাউস এক্সিকিউটিভ অফিসার্স এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা রাজস্ব অফিসার মৃনাল কান্তি, বেলাল হোসেন, শুভাসিস মোদক, নমিতা রানী, কামরুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, নুর মোহাম্মাদ, ছমির হোসেন, হুমায়ন কবির, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিশ্বনাথ কুন্ডু, নাদিম আহম্মেদ, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সহ সভাপতি মনির হোসেন মজুমদার, সিএন্ডএফ ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
বেনাপোল কাষ্টম এক্সিকিউটিভ অফিসার এসোসিয়েশন(খুকা এভ) এর সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন,রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের ও স্বরাষ্ট্র মন্তনালয়ের সাথে বৈঠকে সৃষ্ট ঘটনার সমস্যা সমাধানে ২ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে। এজন্য আগামীকাল কালোব্যাচ ধারন ও মঙ্গলবার ৪ঘন্টা কর্মবিরতি(আমদানি রফতানি বন্ধ থাকবে)। এর বিচার না পেলে বৃহৎ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি
৬ ডিসেম্বর সিলেট তামাবিল শুল্কষ্টেশনে বিজিবি কর্তৃক মাপরিটের স্বিকার হয় ৬ কাষ্টম কর্মকর্তা। এর প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিভিন্ন শুল্ক ষ্টেশনের কর্মকর্তারা।
দায়ী বিজিবি সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ও তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে রবিবার সকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে বুকে কালো ব্যাচ ধারন করে প্রতিবাদ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন খুলনা-মংলা যশোর-বেনাপোল কাস্টমস এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট এক্সিকিউটিভ অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন (খুকাএভ) বেনাপোল কাস্টমস হাউস এক্সিকিউটিভ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্যরা। এক ঘন্টার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সময় বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এ কর্মসূচীর সাথে একাত্ব ঘোষনা করেন বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশন।
বক্তরা নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করে তিন দফা দাবি ঘোষনা করেন। দাবিগুলো হলো, কাস্টমস চেকিংয়ের সময় কোন বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবে না। কাস্টমস সদস্যদের অস্ত্র দিতে হবে ও পোশাক নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব দাবি ও তামাবিল শুল্ক স্টেশনের সংঘটিত ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য গত ৬ ডিসেম্বর সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশনে কাস্টমস তল্লাশির আগেই জোর পূর্বক বিজিবি সদস্যরা পাসপোর্টযাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করার চেষ্টাকালে কাস্টমস কর্মকর্তারা বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় উচ্ছৃংখল কিছু বিজিবি সদস্য তাদের উপর হামলা চালিয়ে সেখানকার ডেপুটি কমিশনারসহ ৬ জন কাস্টমস কর্মকর্তাকে গুরুতর আহত করে। এদের মধ্যে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিন ও মুস্তাফিজ নামের দুই কর্মকর্তাকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাস্টমস কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে বিজিবি’র বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।