তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নবম ওয়েজবোর্ড দ্রুত কার্যকর করা হবে। আমি এ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অনেক দূর বিষয়টি এগিয়েও গেছে।
২০ জানুয়ারি রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্সে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত নতুন মন্ত্রিসভা কমিটি হবে, এ কমিটি প্রধানমন্ত্রী করে দেবেন। তারপরে কমিটির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। ওয়েজবোর্ড নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসব। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গেও কথা বলব। যা করার দ্রুত শেষ করে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার আইন ও সম্প্রচার কমিশন গঠনের পর অনলাইন নিবন্ধনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করাসহ অনলাইন গণমাধ্যম বিকাশে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেবে সরকার।
টেলিভিশন ওয়েজবোর্ড করা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে টেলিভিশনকে ওয়েজবোর্ডে আনা প্রয়োজন। এক সময় হয়তো দরকার হয়নি, কিন্তু এখন ৩০টির বেশি টেলিভিশন, আরো আসতে পারে। সংবাদে টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের গুরত্ব বিবেচনায় ওয়েজবোর্ডে আনা হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি আমার কাজে প্রথমেই প্রাধান্য দেব, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়টি। সংবাদকর্মীদের ওয়েল ফেয়ার ও আবাসনের ব্যবস্থা করা। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও আছে। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করব। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বেসরকারি গণমাধ্যমের মত বিস্তৃতি করা। পিআইডিকে আরো কার্যকরি ভূমিকায় নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজকে সঠিকভাকে পরিচালিত করতে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। একটি সংবাদ, ছবি ও একটি ভিডিও যেমন সারা দেশের মানুষের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করে, সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে, ঠিক তেমনি ছোট্ট একটা সংবাদ সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। তাই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমাদের রিপোর্টারদের সতর্ক থাকতে হবে এবং দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি গণমাধ্যমের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানের আগে ডিআরইউর পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে মন্ত্রী ডিআরইউয়ের নেতাদের সঙ্গে পরিচিত হন।