বাংলাদেশ বৈদেশিক মিশন চিন জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মান বার্লিন, জেনোভা, সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, আরব আমিরাত, স্পেনে নিয়োগকৃত বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের দূতদের সাথে বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত বাণিজ্য বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেনাপোল কাষ্টম হাউজে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের ১১ সদ্যের একটি টিমের সাথে বেনাপোল কাষ্টম হাউসের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাদের সাথে আমিদানি রফতানি বানিজ্য সম্প্রসারণ করণীয় ও উন্নয়ন আগ্রগতি সহ শুল্ক ষ্টেশন সহ রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে মত বিনিময় করেন তারা।
কাস্টম কর্তৃপক্ষ আগতদলকে স্বাগত জানান ও বিশেষ পুরস্কৃত করেন। পরে বেনাপোল বন্দর ও চেকপোষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন তারা।
মত বিনিময় সভায় বেনাপোল কাষ্টম কমিশনার বেলাল হুসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন-বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব আব্দুল জাফর ইসলাম আজিজ, উপ সচিব (রফতানি) ফিরোজ উদ্দিন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম-কর্মাসিয়াল কাউন্সিলর বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিন জার্মানি,কর্মাসিয়াল কাউন্সিলর ডা: আলামিন প্রমানিক, মুনসুর উদ্দিন, শেখ মাসুদুর রহমান, রেদয়ান আহম্মেদ, আরিফুল হক, সেলিম রেজা, কামরুল হাসান, প্রমুখ।
এসময় বেনাপোল কাষ্টম যুগ্ন কমিশননার সহিদুল ইাসলাম,সহকারি কমিশননার উত্তম চাকমা,আকরাম হোসেন, মাসুদুর রহমান, সাইফুল আরিফ, কল্যান মিত্র চাকমা, উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
দেশপ্রেন নিয়ে নবাগত রাষ্ট্রদূতরা বিদেশে যেয়ে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।
আমদানী রফতানী পণ্যের বন্ডেড ওয়ার হাউজ সুবিধা,শুল্কায়ন ও জাহাজীকরন বিষয়ে বাস্তব ধারনা নিতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের১১সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলটি বেনাপোল কাষ্টমস,বন্দর , আইসিপি চেকপোষ্ট পরিদর্শন করে বাস্তব ধারনা অর্জন করেন। এ কর্মশালায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানী রফতানী সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়, যানজট নিরসন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ও ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান অতিথি আব্দুল জাফর ও কাস্টম কমিশনার বেলার হুসাইন চৌধুরী আলো বলেন বেনাপাস সফর্টওয়ারের মাধ্যমে পন্য আমদানি রফতানিতে এক ঘন্টার কাজ হচ্ছে দু মিনিটে। বর্তমানে যে কাজ ডেলিভারীতে সময় রাগত ১ থেকে ২০ দিন তা এখন ২ এক দিনেই হয়ে যাচ্চে। ভারত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পন্য আমদানি রফতানি আরো সহজতর করতে দু দেশের মধ্যে একটি সমন্বয়ের মাধ্যমে ২হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্চে। এটা বাস্তবায়ন হলে ২২টি ষ্টপ ধেকে ৪টি স্টপে নামিয়ে আনা যাবে। ফলে কমব সময় হয়রানি-বাচবে অর্থ বাড়বে আমদানি রফতানি। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বহুগুন। বেনাপোলে কর্মরত বিভিন্ন বাহিনী ও বন্দর ব্যাবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতার কারনে বেনাপোলে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানান তারা। কমিশনার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের উপ কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন-অনেক ব্যাবসায়ি আছেন দু দেশের প্রশাসনির রাজনৈতিক সামাজিক সহ বাবসায়ি সংশ্লিষ্টদের সাথে বানিজ্য সহজতর সম্প্রসারন ওগতিশীল রাখতে সহযোগিতা ও কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন বিষয়য়ে ধারন নিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্যে স্বচ্ছতা গতিশীলতা ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি হয়েছে। কমেছেন যান ও পন্যজট। ব্যাবসা বান্ধব নগরী হিসাবে গদে উঠছে বেনাপোল।
দেশের মধ্যে বেনাপোল বন্দর ও কাষ্টম হাউজ থেকে ই পেমেন্টের মাধ্যমে পন্য খালাস শুরু হয়েছে। দেশের মধ্যে এটা একটি মাইল ফলক বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। ইউনিলিভার নামে একটি প্রতিষ্টানের মালামাল ই পেমেন্টে খালাস হয়েছে বলে জানান তারা। বেনাপোল চেকপোষ্টে যাত্রী সেবার মান আরো এক ধাপ বাড়াতে খুব শিঘুই টলি চলাচলের উদ্ভোধন করা ছাড়ায় অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান আলোচকরা।