বন্দরমূখী সড়কে তীব্র যানজটের কারণে আমদানী রপ্তানী পন্য পরিবহনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমদানিকৃত পণ্য যথাসময়ে শিল্পাঞ্চলে না পৌছাতে পারলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। অন্যদিকে রপ্তানিযোগ্য পণ্য বিশেষ করে গার্মেন্টস্ শিল্পের কন্টেইনার নির্ধারিত সময়ে জাহাজীকরণ সম্ভব না হলে বিদেশী ক্রেতা অর্ডার বাতিল করতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই দীর্ঘ যানজটের কারণে বন্দরমূখী পণ্য যাওয়া এবং বন্দর থেকে খাসালকৃত পণ্য অফডক কিংবা শিল্পাঞ্চলে চলাচল ব্যাহত হলে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
অন্যদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় আমদানি পণ্য বাজারে না পৌঁছতে পারলে ক্রয় মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য ইদানীং সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়া, অতি বর্ষণে রাস্তায় জলবদ্ধতা, সিটি কর্পেরেশন, ওয়াসা কর্তৃক সড়ক উন্নয়নে রাস্তা খোঁড়াখুড়ির কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বন্দর সম্মুখস্থ রাস্তা বারিক বিল্ডিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। ফলে বন্দর সংলগ্ন রাস্তায় সকল সময় মারাত্মক যানজট লেগে থাকে। যার দরুন ১৫ মিনিটের রাস্তা পৌছতে ৩ / ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
এমতাবস্থায়. চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান, এ রাস্তার উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন এবং সিডিএ সহ সকল বিভাগকে অনুরোধ করেন যে, তারা যেন এ বৈরী আবহাওয়ার জুলাই মাসে রাস্তা খোঁড়াখুড়ি বন্ধ করে সৃষ্ট গর্ত সমূহ ভরাট করে বন্দরমূখী যানবাহন চলাচলে সহায়তা করেন।
এছাড়া বন্দর জট কমানোর জন্য দিবা রাত্রি বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারি ব্যবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৪/৭ নির্দেশনা অনুসরণে আগ্রাবাদস্থ সকল ব্যাংক যাতে শুক্র ও শনিবার সহ অন্যদিন খোলা রাখেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টম, সকল শিপিং কোম্পানী, সকল ফরওয়ার্ডার যাতে ২৪/৭ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করেন তাহলেই বন্দর ও রাস্তার জট কমে আসবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।