জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ১০ সদস্য ও ছাত্রদলের পাঁচজন নেতা-নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার জন্য নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা এসেও হাজির হন।
অনুমতি না থাকায় সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি তারা নেয়নি। এ কারণে সমাবেশ করতে বারণ করা হলেও তারা না শুনে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে প্রায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা হাইকোর্টের সামনেসহ আশেপাশের এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। পুরো এলাকার দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।