করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার কারণে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দুই ডোজ গ্রহণের ন্যূনতম দুই সপ্তাহ পর থেকে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হয় বলেও জানায় অধিদফতর।
১ মার্চ সোমবার করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানায়। অধিদফতর বলছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের কারণে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। চলমান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে ব্যবহৃত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ গ্রহণের ন্যূনতম দুই সপ্তাহ পর থেকে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ সক্ষমতা তৈরি হয়। তাই এ সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। সুতরাং, ভ্যাকসিন গ্রহণের পূর্বে এবং পরেও মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলুন।
করোনার টিকা নেওয়ার তালিকায় অগ্রাধিকার পাওয়া ও ৪০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সের সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধিদফতর বলছে, অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত এবং ৪০ বছর ও তদুর্ধ্ব সকলে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমে নিবন্ধন করুন এবং নির্ভয়ে টিকা দিন। অনলাইন নিবন্ধন লিংক: www.surokkha.gov.bd ।
প্রসঙ্গত, টিকা নেওয়ার পর কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টিকা নেওয়ার পর সংক্রমিত হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তবে টিকা নিলে জটিলতা দেখা দেবে না। মৃত্যুঝুঁকিও অনেক কমে যাবে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, টিকা নেওয়ার সময় যদি কেউ করোনাভাইরাসে আগে থেকেই আক্রান্ত হয়ে ইনকিউবেশন পিরিয়ডে থাকেন, তবে তিনিও সংক্রমিত হতে পারেন। ইনকিউবেশন পিরিয়ড দুই থেকে ২১ দিনও হতে পারে। আবার প্রথম ডোজ দেওয়ার পরে ১৪-২১ দিন পর শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এটি তৈরি হলেও করোনার সংক্রমণ হতে পারে। তবে সেটা মৃদু সংক্রমণ হবে।
ডা. আলমগীর বলেন, আমেরিকায় বহু মানুষ টিকা দেওয়ার পর আবারও আক্রান্ত হয়েছেন। পুরো পৃথিবীতেই এ ঘটনা ঘটছে ।